৪৮তম বিসিএস প্রিলিমিনারি কোর্স
- মোট ক্লাস ১২৯টি (প্রতি ক্লাসে ক্লাস টেস্ট)
- সাবজেক্ট টেস্ট: ২১টি (১০০ নম্বর mcq)
- ক্লাস রিভিউ টেস্ট: ১৩টি (১০০ নম্বর mcq)
- জব সলিউশন টেস্ট- ১০টি (১০০ নম্বর mcq)
- অ্যাসাইনমেন্ট টেস্ট: ০৬টি (প্রিলি.+লিখিত প্রস্তুতি))
- সাবজেক্ট ফাইনাল: ০৬টি (২০০ নম্বর mcq)
- বেসিক টেস্ট: ০১টি (২০০ নম্বর mcq, ১০ম-৪৫তম প্রিলি. প্রশ্ন)
- সাম্প্রতিক টেস্ট: ০১টি (২০০ নম্বর mcq)
- মডেল টেস্ট: ১০টি (পিএসসি’র অনুরূপ) কেন্দ্রীয়ভাবে ফলাফল প্রকাশ
ক্লাস টেস্ট
প্রতিটি ক্লাসের শুরুতে পূর্ববর্তী ক্লাসের উপর ৪০ নম্বরের ক্লাস টেস্ট নেওয়া হয়। ৩০টি MCQ এবং ১০টি লিখিত ফরমেটের ।
লিখিত ফরমেটে প্রশ্ন থাকবে অপশন থাকবে না, খালি জায়গায় উত্তর লিখতে হয়।
ক্লাস টেস্টে মিনিমাম ১০ নম্বর না পেলে সেই ক্লাস পুনরায় করা বাধ্যতামূলক।
প্রিলি. প্রশ্ন পরিচিতি টেস্ট
বিগত বিসিএস প্রিলি. পরীক্ষার প্রশ্নসমূহের উপর (১০ম বিসিএস থেকে সর্বশেষ বিসিএস পর্যন্ত) ২০০ নম্বরের MCQ প্রশ্ন থাকে।
এর মাধ্যমে আমরা শিক্ষার্থীদের বিসিএস প্রিলিমিনারির প্রশ্ন সম্পর্কে ধারণা প্রদান করি। এর জন্য রয়েছে ওরাকল বিসিএস প্রিলি. প্রশ্নব্যাংক বইটি।
পরীক্ষার পূর্বে ১ সপ্তাহ সময় দেওয়া হয় বইটি পড়ার জন্য। সাধারণত ভর্তির মাস খানেক পরে এই পরীক্ষা নেওয়া হয়। এটি একটি সহজ পরীক্ষা।
অধিকাংশ শিক্ষার্থী এতে ৭০%-৮০% নম্বর পেয়ে থাকে।
সাবজেক্ট টেস্ট
এর মাধ্যমে আমরা কোর্স প্লানের একটি নিদির্ষ্ট অংশের উপর শিক্ষার্থীর প্রস্তুতি যাচাই করে থাকি।
সাবজেক্ট টেস্ট পরীক্ষায় ৫০% নম্বর না পেলে ধরে নেওয়া হয় শিক্ষার্থীর সাবজেক্ট টেস্টের আওতাধীন অংশের পড়া কমপ্লিট হয়নি।
কাজেই শিক্ষার্থীকে এই ক্লাসগুলো বাধ্যতামূলকভাবে আবার করতে হয়। কার্যত আমরা শিক্ষার্থীকে ধারণা দিতে চাই নিয়মিত পরীক্ষায়
৭০% এর কম নম্বর পেলে শিক্ষার্থীর প্রিলি. পরীক্ষায় ফেল করার আশংকা থাকে। আমরা এমনভাবে শিক্ষার্থীদের প্র্যাকটিস করিয়ে থাকি
যেন সে নিয়মিত ৭০% বা এর অধিক নম্বর পেতে পারে।
জব সলিউশন টেস্ট
১০টি ১০০ নম্বরের জব সলিউশন টেস্ট থাকে। প্রশ্নের ধরন MCQ। কয়েক মাস ক্লাস হওয়ার পর এই পরীক্ষা নেওয়া হয়।
কোন এক বছরের সবগুলো প্রশ্নের উপর ১টি জব সলিউশন পরীক্ষা নেওয়া হয়। এর মাধমে আমরা জব সলিউশন বইয়ের ১০ বছরের
প্রশ্নসমূহ পড়ানো হয়। ৪৮তম বিসিএস প্রিলিমিনারি কোর্স
অ্যাসাইনমেন্ট টেস্ট
অ্যাসাইনমেন্ট টেস্ট মোট ৬টি। প্রতি মাসে ১টি করে পরীক্ষা নেওয়া হয়।এটি বিসিএস প্রিলিমিনারির জন্য ব্যাপক প্রস্তুতির একটি আয়োজন।
সাধারণত প্রতিটি অ্যাসাইনমেন্ট টেস্টে গড়ে ৩০০ প্রশ্নের একটি প্রশ্নপত্র শিক্ষার্থীদের দেওয়া হয়। বইপত্র ঘেটে এই প্রশ্নগুলোর লিখিত
উত্তর অফিসে জমা দিতে হয়। এটি সাপ্তাহিক টেস্টের লংগার ভার্সন। শিক্ষার্থীদের উত্তর তৈরি ও জানার ব্যাপকতা বাড়ানোর জন্য এই পরীক্ষা।
যারা অ্যাসাইনমেন্ট টেস্টে ভালো করেন তাদের অধিকাংশই বিসিএস প্রিলি. পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।
সাবজেক্ট ফাইনাল
বিসিএস প্রিলি’র বিভিন্ন বিষয়কে ৬টি ভাগে ভাগ করে ২০০ নম্বরের ৬টি সাবজেক্ট ফাইনাল নেওয়া হয়। প্রশ্নের ধরন MCQ।
সাধারণত প্রিলি. কোর্সের শেষের দিকে এটি নেওয়া হয়। এর মাধ্যমে প্রিলি. গাইডগুলোকে আরো একবার রিভিশন করানো হয়।
মডেল টেস্ট
২০০ নম্বরের ১২টি মডেল টেস্ট নেওয়া হয়। এটি বিসিএস প্রিলিমিনারির চূড়ান্ত পরীক্ষার অনুরূপ।এ পরীক্ষাটি সাধারণত
বিসিএস প্রিলি. পরীক্ষার ১ মাস পূর্বে নেওযা শুরু হয়। তুলনামূলক কঠিন এই পরীক্ষায় গড়ে ১১০ নম্বর প্রাপ্ত
অধিকাংশই অতীতে বিসিএস প্রিলি. পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে।