fbpx

বাংলাদেশের ভূ-প্রকৃতি

  • ভূ-প্রকৃতির ভিত্তিতে বাংলাদেশকে প্রধানত তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করা যায়।
  • টারশিয়ারি যুগের পাহাড়সমূহ
    বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব, উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের পাহাড়সমূহ এ অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত। টারশিয়ারি যুগে হিমালয় পর্বত উত্থিত হওয়ার সময় এসকল পাহাড় সৃষ্টি হয়েছে। এগুলো টারশিয়ারি যুগের পাহাড় নামে খ্যাত। এ পাহাড়গুলো বেলেপাথর, শেল ও কর্দম দ্বারা গঠিত। এ অঞ্চলের পাহাড়গুলোকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যথা- (ক) দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের পাহাড়সমূহ ও (খ) উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের পাহাড়সমূহ।
  • দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের পাহাড়সমূহ
    রাঙামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম জেলার পূর্বাংশ এ অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত। দক্ষিণ-পূর্বের এ পাহাড়গুলোর গড় উচ্চতা ৬১০ মিটার। এ শ্রেণির পাহাড়ের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কেওক্রাডং (১২৩০ মিটার)। সাম্প্রতিককালে এ পাহাড়শ্রেণির মধ্যে তাজিনডং (বিজয়) এবং উচ্চতা ১,২৮০ মিটার। এটিই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ।
  • উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের পাহাড়সমূহ
    ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনা জেলার উত্তরাংশ, সিলেট জেলার উত্তর ও উত্তর-পূর্বাংশ এবং মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার দক্ষিণের পাহাড়গুলোর গড় উচ্চতা ২৪৪ মিটারের বেশি নয়। উত্তরের পাহাড়গুলো স্থানীয়ভাবে টিলা নামে পরিচিত। এগুলোর উচ্চতা ৩০ থেকে ৯০ মিটার।
  • প্লাইস্টোসিনকালের সোপানসমূহ:
    আনুমানিক ২৫,০০০ বছর পূর্বের সময়কে প্লাইস্টোসিনকাল বলে। উত্তর-পশ্চিমাংশের বরেন্দ্রভ‚মি, মধ্যভাগের মধুপুর ও ভাওয়ালের গড় এবং কুমিল্লা জেলার লালমাই পাহাড় বা উচ্চভ‚মি এ অঞ্চলের অন্তর্গত। প্লাইস্টোসিনকালে এসব সোপান গঠিত হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়। নিচে এসব উচ্চভ‚মির বর্ণনা দেওয়া হলো।
  • বরেন্দ্রভূমি: দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় ৯,৩২০ বর্গকিলোমিটার এলাকায় বরেন্দ্রভূমি বিস্তৃত। প্লাবন সমভূমি হতে এর উচ্চতা ৬ থেকে ১২ মিটার। এ স্থানের মাটি ধূসর ও লাল বর্ণের।
  • মধুপুর ও ভাওয়ালের গড়: টঙ্গাইল ও ময়মনসিংহ জেলার মধুপুর এবং গাজীপুর জেলায় ভাওয়ালের গড় অবস্থিত। এর আয়তন প্রায় ৪,১০৩ বর্গকিলোমিটার। সমভূমি থেকে এর উচ্চতা প্রায় ৩০ মিটার। মাটির রং লালচে এবং ধূসর।
  • লালমাই পাহাড়: কুমিল্লা শহর থেকে ৮ কিলোমিটার পশ্চিমে লালমাই থেকে ময়নামতি পর্যন্ত এ পাহাড়টি বিস্তৃত। এর আয়তন প্রায় ৩৪ বর্গকিলোমিটার এবং গড় উচ্চতা ২১ মিটার।
  • সাম্প্রতিককালের প্লাবন সমভূমি:
    টারশিয়ারি যুগের পাহাড়সমূহ এবং প্লাইস্টোসিনকালের সোপানসমূহ ছাড়া সমগ্র বাংলাদেশ নদীবিধৌত এক বিস্তীর্ণ প্লাবন সমভ‚মি। এ প্লাবন সমভ‚মির আয়তন প্রায় ১,২৪,২৬৬ বর্গকিলোমিটার। এই অঞ্চলে বিক্ষিপ্তভাবে অসংখ্য জলাভ‚মি ও নি¤œভ‚মি ছড়িয়ে আছে। এর কিছুসংখ্যক পরিত্যক্ত অশ্বখুরাকৃতি নদীখাত। স্থানীয়ভাবে এগুলোকে বিল, ঝিল ও হাওড় বলে। এদের মধ্যে চলনবিল, মাদারিপুর বিল ও সিলেট অঞ্চলের হাওড়সমূহ। সাম্প্রতিককালের প্লাবন সমভ‚মিকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন-
  • রংপুর ও দিনাজপুরের পাদদেশীয় সমভূমি। (বাংলাদেশের উচ্চতম স্থান/ দিনাজপুর ৩৭.৫০ মি.)।
  • ঢাকা, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, জামালপুর, পাবনা, কুমিল্লা, নোয়াখালী ও সিলেটের অন্তর্গত বন্যা প্লাবন সমভ‚মি।
  • ফরিদপুর, কুষ্টিয়া, যশোর, খুলনা ও ঢাকা অঞ্চলের অংশবিশেষ নিয়ে ব-দ্বীপ সমভূমি।
  • নোয়াখালী ও ফেনী নদীর নি¤œভাগ থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত বিস্তৃত চট্টগ্রামের উপক‚লীয় সমভূমি।
  • খুলনা ও পটুয়াখালী অঞ্চল এবং বরগুনা জেলার কিয়দংশ নিয়ে স্রোতজ সমভূমি। বাংলাদেশের ভূ-প্রকৃতি
  • বঙ্গোপসাগর
    বঙ্গোপসাগর বাংলাদেশের দক্ষিণে অবস্থিত। এটি ভারত মহাসাগরের উত্তরদিকের অংশ। এর আয়তন ২২ লাখ বর্গকিলোমিটার এবং গড় গভীরতা ৮৫০০ ফুট। ‘সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড’ বা গঙ্গাখাত বঙ্গোপসাগরের গভীরতম খাদের নাম। ‘বেঙ্গল ফ্যান’ বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত। বাংলাদেশের ভূ-প্রকৃতি

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Change
Scroll to Top
× WhatsApp Massage